সনাতন ধর্মে কেন মৃতদেহ পোড়ানো হয় - History VS Story

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Sunday, July 29, 2018

সনাতন ধর্মে কেন মৃতদেহ পোড়ানো হয়



সনাতন ধর্মে মৃতদেহ পোড়াবার তিনটি কারন আছে।
১) আধ্যাত্মিক কারণঃ আমরা সনাতন ধর্মের অনুসারিরা পুনর্জন্মে বিশ্বাসী। এই ত্রিতাপদগ্ধ সংসারে পুনরায় জন্মগ্রহন করে মানুষ দুঃখজ্বালা ভোগ করুক এটা কেউ চাই না। যে দেহে তিনি এতদিন বাস করেছেন, তাকে সাজিয়ে গুছিয়ে রেখেছেন, পৃথিবীর যাবতীয় সুখের স্বাদ তাকে দিয়েছেন সে দেহের প্রতি আকর্ষণ ও মায়া থাকা স্বাভাবিক। দেহের প্রতি আকর্ষণে পুনঃ দেহ ধারনে তার আকাঙ্ক্ষা জাগতে পারে, ঐ আকাঙ্ক্ষা দূর করার উদ্দেশেই আকর্ষণের বস্তু দেহটিকে পোড়ানো হয়।
২) সামাজিক কারণঃ আর্য ঋষিদের ভবিষ্যৎ চিন্তা এতে প্রতিফলিত হয়েছে। মানুষ সৃষ্টি হবে এবং এমন একদিন আসতে পারে যখন স্থানাভাব দেখা দেবে। মানুষের দেহ না পুড়িয়ে মাটিতে পুঁতে রেখে দিলে ক্রমশ মাটিতে রাখার জায়গার অভাব দেখা দিতে পারে। এই কারনেই দেহ পোড়াবার বাবস্থা।
৩) বৈজ্ঞানিক কারণঃ মানুষ বিভিন্ন কারনে মৃত্যুবরণ করে। এর মধ্য রোগে মৃত্যুই সর্বাধিক। এই সকল মৃতদেহে পচন ধরলে পরিবেশে বিভিন্ন রোগ জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এসব চিন্তা থেকেই আর্য ঋষিগণ শব পোড়াবার বিধি দিয়েছে।
মুখাগ্নি করার কারণঃ
আমরা সনাতন ধর্মের অনুসারি বিশ্বাস করি যে, মানুষ মৃত্যুর পর স্বর্গবাসী হয় অথ্যাৎ দেবলোকে যায়। কিন্তু, তিনি স্বর্গে বা দেবলোকে যাবেন কিভাবে? বৈদিক নিয়ম অনুসারে দেবলোকে বা স্বর্গলোকে পাঠাতে হলে দেবতাদের পুরোহিত অগ্নিতে আহুতি দিতে হয়। অগ্নিদেবই সে অর্চনা বা আহুতি দেবলোকে নিয়ে যান। তাই যিনি মৃত্যুবরণ করেছেন তার প্রাণবায়ু অগ্নিদেবকে আহুতি না দিলে তিনি কি করে স্বর্গবাসী হবেন? প্রানবায়ু মুখ দিয়ে বের হয় বলে মুখে অগ্নি সংযোগ করে মন্ত্র পাঠ করতে হয়-
“ওঁ কৃত্বা তু দুষ্কৃতং কর্মং জানতা বাপ্য জানতা।
মৃত্যুকাল বশং প্রাপ্য নরং পঞ্চত্বমাগতম্
ধর্মাধর্ম সমাযুক্তং লোভ মোহ সমাবৃতম্
দহেয়ং সর্বগাত্রানি দিব্যান্ লোকান্ স গচ্ছতু”।
অনুবাদঃ তিনি জেনে বা না জেনে অনেক দুষ্কর্ম করে থাকতে পারেন। কালবশে মানুষ মৃত্যুবরণ করে থাকে। এ দেহ ধর্ম, অধর্ম, লোভ, মোহ প্রভৃতি দ্বারা আচ্ছাদিত ছিল। হে অগ্নিদেব, আপনি তার সকল দেহ দগ্ধ করে দিব্যলোকে নিয়ে যান।
আমেরিকা, ইংল্যান্ড এবং কানাডার পর এবার স্কটল্যান্ডে ও সবদিক থেকে ১ নাম্বার অবস্থানে রয়েছে স্কটিশ হিন্দুরা
স্কটল্যান্ডের সরকারের দেয়া রির্পোট অনুযায়ী স্কটল্যান্ডে শিক্ষা, অর্থনীতি,বিজ্ঞান, প্রযুক্তি গবেষণা সহ প্রায় সব বিভাগে ১ নাম্বার অবস্থানে রয়েছে স্কটিশ সনাতনী হিন্দুরা। বিগত বছর গুলোতে এই রেকর্ড খ্রীষ্টান এবং ইহুদিদের দখলে থাকলেও, এইবার সবাইকে পেছনে ফেলে এই স্থানটি দখল করে নেয় স্কটল্যান্ডের সনাতনীরা। সরকারি হিসাব মতে স্কটল্যান্ডের হিন্দু সংখ্যা ১.৫৯% হলেও, "Hindu Council of...
মোহাম্মদ মজিদ এখন ধর্ম দাস
মুসলিম পরিবারে জন্মেছিলেন মোহাম্মদ মজিদ। শান্তির খোঁজ করেও কখনো শান্তির দেখা পায়নি মোহাম্মদ মজিদ। তিনি এক চিলতে শান্তির জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন, ভেবে দেখেছেন বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে। অবশেষে খুঁজে পেলেন শান্তির ধর্ম, গ্রহন করলেন "হিন্দু ধর্ম"।

রাশিয়ার আলতাই প্রজাতন্ত্রে হিন্দুধর্মাবলীর সংখ্যা গত বছর থেকে দুই শতাংশ বেড়েছে। এভাবে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে সনাতন ধর্মের শান্তির ছায়া।
পরিপূর্ণ ভারতীয় সংস্কৃতি ও স্থাপত্যের ধাঁচে তৈরি অপূর্ব অক্ষরধাম মন্দিরটি ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত। এই মন্দিরকে স্থানীয়রা দিল্লি অক্ষরধাম বা স্বামীনারায়ণ অক্ষরধাম মন্দির নামেও বলে থাকেন। বোচাসন্ন্যাসী শ্রী অক্ষর পুরুষোত্তম স্বামীনারায়ণ সংস্থার গুরু প্রমুখ স্বামী মহারাজের অনুপ্রেরণায় এই মন্দিরটি তৈরি করা হয়।
দিল্লি বেড়াতে গেলে কোনও পর্যটকই এই মন্দির না দেখে আসেন না। বাস্তুশাস্ত্র ও পঞ্চতন্ত্র শাস্ত্রের সমস্ত রীতি মেনে গোটা মন্দিরটি গঠিত হয়েছে। বহু বছর ধরে কাজ চলার পর অবশেষে ২০০৫ সালে মন্দিরের কাজ সম্পূর্ণ হয়। দর্শক, ভক্ত ও পর্যটকদের জন্যও খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের দরজা। যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত মন্দিরের একাংশে দামী পাথর দিয়ে স্বামী নারায়ণ ও ভারতের ইতিহাস বর্ণিত রয়েছে।
মানিকগঞ্জে প্রতিমা ভাঙচুর, হামলায় ছয়জন আহত
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় একটি পূজামণ্ডপে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করেছে বখাটে যুবকেরা। এ সময় হামলায়
ছয়জন আহত হন। গত রোববার রাতে উপজেলার রাজনগর গ্রামের সম্ভু চন্দ্র মালোর বাড়ির সর্বজনীন পূজামণ্ডপে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
নিউজিল্যান্ডে সনাতন ধর্ম : কিছু তথ্য
* নিউজিল্যান্ডে সনাতন ধর্ম । ১৯৯৬ তে হিন্দুজন গোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল ২৬,০০০। ২০০১ সালে তা দাড়ায় ৪০,০০০। সর্বশেষ ২০০৬ সালের হিসাবমতে ৬৫,০০০ অর্থাৎ এই কয়েক বছরে হিন্দু সংখ্যা ৬২ % বৃদ্ধি পেয়েছ
* শুধু তাই নয় হিন্দুরা নিউজিল্যান্ডে সর্ববৃহৎ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। ১.৭ %। খ্রিস্টানদের পরেই অবস্থান।
সনাতন ধর্মে কেন মৃতদেহ পোড়ানো হয়?
সনাতন ধর্মে মৃতদেহ পোড়াবার তিনটি কারন আছে।
১) আধ্যাত্মিক কারণঃ আমরা সনাতন ধর্মের অনুসারিরা পুনর্জন্মে বিশ্বাসী। এই ত্রিতাপদগ্ধ সংসারে পুনরায় জন্মগ্রহন করে মানুষ দুঃখজ্বালা ভোগ করুক এটা কেউ চাই না। যে দেহে তিনি এতদিন বাস করেছেন, তাকে সাজিয়ে গুছিয়ে রেখেছেন, পৃথিবীর যাবতীয় সুখের স্বাদ তাকে দিয়েছেন সে দেহের প্রতি আকর্ষণ ও মায়া থাকা স্বাভাবিক। দেহের প্রতি আকর্ষণে পুনঃ দেহ ধারনে তার আকাঙ্ক্ষা জাগতে পারে, ঐ আকাঙ্ক্ষা দূর করার উদ্দেশেই আকর্ষণের বস্তু দেহটিকে পোড়ানো হয়।
২) সামাজিক কারণঃ আর্য ঋষিদের ভবিষ্যৎ চিন্তা এতে প্রতিফলিত হয়েছে। মানুষ সৃষ্টি হবে এবং এমন একদিন আসতে পারে যখন স্থানাভাব দেখা দেবে। মানুষের দেহ না পুড়িয়ে মাটিতে পুঁতে রেখে দিলে ক্রমশ মাটিতে রাখার জায়গার অভাব দেখা দিতে পারে। এই কারনেই দেহ পোড়াবার বাবস্থা।
৩) বৈজ্ঞানিক কারণঃ মানুষ বিভিন্ন কারনে মৃত্যুবরণ করে। এর মধ্য রোগে মৃত্যুই সর্বাধিক। এই সকল মৃতদেহে পচন ধরলে পরিবেশে বিভিন্ন রোগ জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এসব চিন্তা থেকেই আর্য ঋষিগণ শব পোড়াবার বিধি দিয়েছে।
মুখাগ্নি করার কারণঃ
আমরা সনাতন ধর্মের অনুসারি বিশ্বাস করি যে, মানুষ মৃত্যুর পর স্বর্গবাসী হয় অথ্যাৎ দেবলোকে যায়। কিন্তু, তিনি স্বর্গে বা দেবলোকে যাবেন কিভাবে? বৈদিক নিয়ম অনুসারে দেবলোকে বা স্বর্গলোকে পাঠাতে হলে দেবতাদের পুরোহিত অগ্নিতে আহুতি দিতে হয়। অগ্নিদেবই সে অর্চনা বা আহুতি দেবলোকে নিয়ে যান। তাই যিনি মৃত্যুবরণ করেছেন তার প্রাণবায়ু অগ্নিদেবকে আহুতি না দিলে তিনি কি করে স্বর্গবাসী হবেন? প্রানবায়ু মুখ দিয়ে বের হয় বলে মুখে অগ্নি সংযোগ করে মন্ত্র পাঠ করতে হয়-
“ওঁ কৃত্বা তু দুষ্কৃতং কর্মং জানতা বাপ্য জানতা।
মৃত্যুকাল বশং প্রাপ্য নরং পঞ্চত্বমাগতম্
ধর্মাধর্ম সমাযুক্তং লোভ মোহ সমাবৃতম্
দহেয়ং সর্বগাত্রানি দিব্যান্ লোকান্ স গচ্ছতু”।
অনুবাদঃ তিনি জেনে বা না জেনে অনেক দুষ্কর্ম করে থাকতে পারেন। কালবশে মানুষ মৃত্যুবরণ করে থাকে। এ দেহ ধর্ম, অধর্ম, লোভ, মোহ প্রভৃতি দ্বারা আচ্ছাদিত ছিল। হে অগ্নিদেব, আপনি তার সকল দেহ দগ্ধ করে দিব্যলোকে নিয়ে যান।
আমেরিকা, ইংল্যান্ড এবং কানাডার পর এবার স্কটল্যান্ডে ও সবদিক থেকে ১ নাম্বার অবস্থানে রয়েছে স্কটিশ হিন্দুরা
স্কটল্যান্ডের সরকারের দেয়া রির্পোট অনুযায়ী স্কটল্যান্ডে শিক্ষা, অর্থনীতি,বিজ্ঞান, প্রযুক্তি গবেষণা সহ প্রায় সব বিভাগে ১ নাম্বার অবস্থানে রয়েছে স্কটিশ সনাতনী হিন্দুরা। বিগত বছর গুলোতে এই রেকর্ড খ্রীষ্টান এবং ইহুদিদের দখলে থাকলেও, এইবার সবাইকে পেছনে ফেলে এই স্থানটি দখল করে নেয় স্কটল্যান্ডের সনাতনীরা। সরকারি হিসাব মতে স্কটল্যান্ডের হিন্দু সংখ্যা ১.৫৯% হলেও, "Hindu Council of...


মোহাম্মদ মজিদ এখন ধর্ম দাস
মুসলিম পরিবারে জন্মেছিলেন মোহাম্মদ মজিদ। শান্তির খোঁজ করেও কখনো শান্তির দেখা পায়নি মোহাম্মদ মজিদ। তিনি এক চিলতে শান্তির জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন, ভেবে দেখেছেন বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে। অবশেষে খুঁজে পেলেন শান্তির ধর্ম, গ্রহন করলেন "হিন্দু ধর্ম"।
মোহাম্মদ মজিদ এখন ধর্ম দাস হলেন। এটা আমার কথা নয় ধর্ম দাসের কথা। বিস্তারিত জানতে নিচের লিংঙ্কে ক্লিক করুন-
বিশ্বের বৃহত্তম হিন্দু মন্দির: অক্ষরধাম
পরিপূর্ণ ভারতীয় সংস্কৃতি ও স্থাপত্যের ধাঁচে তৈরি অপূর্ব অক্ষরধাম মন্দিরটি ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত। এই মন্দিরকে স্থানীয়রা দিল্লি অক্ষরধাম বা স্বামীনারায়ণ অক্ষরধাম মন্দির নামেও বলে থাকেন। বোচাসন্ন্যাসী শ্রী অক্ষর পুরুষোত্তম স্বামীনারায়ণ সংস্থার গুরু প্রমুখ স্বামী মহারাজের অনুপ্রেরণায় এই মন্দিরটি তৈরি করা হয়।
দিল্লি বেড়াতে গেলে কোনও পর্যটকই এই মন্দির না দেখে আসেন না। বাস্তুশাস্ত্র ও পঞ্চতন্ত্র শাস্ত্রের সমস্ত রীতি মেনে গোটা মন্দিরটি গঠিত হয়েছে। বহু বছর ধরে কাজ চলার পর অবশেষে ২০০৫ সালে মন্দিরের কাজ সম্পূর্ণ হয়। দর্শক, ভক্ত ও পর্যটকদের জন্যও খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের দরজা। যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত মন্দিরের একাংশে দামী পাথর দিয়ে স্বামী নারায়ণ ও ভারতের ইতিহাস বর্ণিত রয়েছে
মানিকগঞ্জে প্রতিমা ভাঙচুর, হামলায় ছয়জন আহত
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় একটি পূজামণ্ডপে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করেছে বখাটে যুবকেরা। এ সময় হামলায়
ছয়জন আহত হ। গত রোববার রাতে উপজেলার রাজনগর গ্রামের সম্ভু চন্দ্র মালোর বাড়ির সর্বজনীন পূজামণ্ডপে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
নিউজিল্যান্ডে সনাতন ধর্ম : কিছু তথ্য
* নিউজিল্যান্ডে সনাতন ধর্ম fastest growing religions। ১৯৯৬ তে হিন্দুজন গোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল ২৬,০০০। ২০০১ সালে তা দাড়ায় ৪০,০০০। সর্বশেষ ২০০৬ সালের হিসাবমতে ৬৫,০০০ অর্থাৎ এই কয়েক বছরে হিন্দু সংখ্যা ৬২ % বৃদ্ধি পেয়েছে।
* শুধু তাই নয় হিন্দুরা নিউজিল্যান্ডে সর্ববৃহৎ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। ১.৭ %। খ্রিস্টানদের পরেই অবস্থান।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here