ভূমিকা : তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে তাদের জন্যে আল্লাহর রাসূলের মধ্যে উত্তম নমুনা রয়েছে।’’ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে পাঠানো সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী। তিনি তাঁর অনুসারীদের জীবনের ওপর যেরূপ প্রভাব বিস্তার করেছেন, মানবজাতির ইতিহাসে অন্য কোন ব্যক্তিই তেমনটি পারেননি। তাই তিনি পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ মানব। তিনি ছিলেন উত্তম চরিত্রের অধিকারী। তাঁর জীবন আমাদের অনুসরণের জন্যে সর্বোত্তম নমুনা। তিনিই আমাদেরকে তাঁর আমলের দ্বারা দেখিয়েছেন কিভাবে বিশ্বজাহানের সৃষ্টিকর্তা ও রব আল্লাহ তা'আলার আনুগত্য করতে হবে।
চারিত্রিক গুণাবলী : হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ছিলেন একজন মিষ্টভাষী, ভদ্র ও বিনয়ী, মানুষ। তিনি চিন্তা ও ধ্যান করতে ভালবাসতেন। তিনি তাঁর সমবয়সী অন্য লোকদের মত ছিলেন না। দুনিয়ার জীবনের চাকচিক্যের প্রতি তাঁর কোন আগ্রহ ছিল না। আর এটা ছিল এমন একটি বৈশিষ্ট্য যা গোটা মানবজাতির ভবিষ্যৎ পথপ্রদর্শক ও শিক্ষকের জন্য পুরোপুরি মানানসই ছিল। শৈশব থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত আমরা তাকে একজন উত্তম চরিত্রের অধিকারী রূপে পাই।
কৈশোর জীবনের চারিত্রিক গুণাবলী :-
কিশোর মোহাম্মদ (সাঃ) এর বয়স যখন ৮/৯ বছর, এই বয়সেই তাঁর মধুর চালচলন দেখে সবাই বিস্মিত হন। তিনি কখনো কারো সঙ্গে ঝগড়াঝাটি করতেন না। কোন কারণে কখনো কান্নাকাটি বা জিদাজিদি করতেন না। বেশির ভাগ সময় তিনি চুপ করে থাকতেন। আহারের সময় চাচার সঙ্গে বসে আদরের সঙ্গে আহার করতেন। খাওয়া নিয়ে কোন প্রকার গোলমাল করতেন না। নিরর্থক ও বাজে খেলাধূলা তিনি মোটেই পছন্দ করতেন না। কখনো মিথ্যা কথা বলতেন না। খুব ধীর, সৎ স্বভাব ও বুদ্ধিমান ছিলেন এবং সকলেই তাঁকে বিশ্বাস করতো। এক কথায় সমস্ত সদগুণাবলীর সমাবেশ হয়েছিল তাঁর চরিত্রে। মহান আল্লাহ স্বয়ং হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কে সকল রকম জ্ঞান দিয়ে তাঁর চরিত্রের সকল মাধুর্যকে ফুটিয়ে তুলেছিলেন।
এবং সম্পূর্ণরূপে সুশিক্ষিত করে দুনিয়ায় পাঠিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ ও আদর্শ মানব।
No comments:
Post a Comment