হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর মৃত্যু সাল। - History VS Story

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Friday, May 25, 2018

হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর মৃত্যু সাল।




বিদায় হজ্জ থেকে ফেরার পর হিজরী ১১ সালের সফর মাসে মুহাম্মদ (সাঃজ্বরে আক্রান্ত হন।   করেন। অসুস্থতা তীব্র হওয়ার পর তিনি সকল স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে আয়েশা (রাঃ)এর কামরায় অবস্থান করতে থাকেন। বলা হয়এই অসুস্থতা ছিল খাইবারের এক ইহুদি নারীর তৈরি বিষ মেশানো খাবার গ্রহণের কারণে। অবশেষে ১১ হিজরী সালের রবিউল আউয়াল মাসের  তারিখ সন্ধায় তিনি মৃত্যবরণ করেন।  সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। আলী (রাঃতাকেঁ গোসল দেন এবং কাফন পরান। আয়েশ (রাঃ)এর কামরার যে স্থানে তিনি মৃত্যুবরণ করেন,জানাযার পর সেখানেই তাকেঁ দাফন করা হয়।
কোরআনে মহানবী (সা.)-এর জন্ম  বংশ পরিচয় : -
আল্লাহ তায়ালা আরবদের ওপর তাঁর বিশেষ অনুগ্রহের কথা তুলে ধরেছেন। বিশ্বনবীকে তিনি আরবদের বংশোদ্ভূত  আরবি ভাষাভাষী করে পাঠিয়েছেন। এটা সত্য যে পবিত্র কেরআনে মহানবী (সা.)-এর জীবনচরিত বিক্ষিপ্তভাবে বর্ণিত হয়েছে। উল্লিখিত আয়াতে তাঁর জন্ম প্রসঙ্গ বিবৃত হয়েছে। এই আয়াতের ব্যাখ্যায় মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘বৈধভাবে বিবাহের মাধ্যমে আমার জন্ম হয়েছে। আদম (.) থেকে আমার পিতা-মাতা পর্যন্ত কেউ জাহেলি যুগে প্রচলিত ব্যভিচারের মাধ্যমে জন্মগ্রহণ করেননি।
মহানবী (সা.)-এর জন্মের পূর্বাভাস আগের সব নবীকে দেওয়া হয়েছিল।  প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘স্মরণ করোযখন আল্লাহ নবীদের কাছ থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করেন যে আমি কিতাব  জ্ঞান-প্রজ্ঞা যা কিছু তোমাদের দান করেছিঅতঃপর (যদিতোমাদের কিতাবকে সত্যায়নকারীস্বরূপ তোমাদের কাছে কোনো রাসুল (মুহাম্মদ সা.) আসেনতখন তোমরা অবশ্যই সে রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তাঁকে সাহায্য করবে। ’  তিনি বললেন, ‘তোমরা কি ( বিষয়েঅঙ্গীকার (স্বীকারকরেছ এবং এই শর্তে আমার ওয়াদা গ্রহণ করে নিয়েছ?’ তারা বলল, ‘আমরা অঙ্গীকার (স্বীকারকরেছি।
মহানবী (সা.)-এর ভাষাবংশ  শহর সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘এভাবে আমি তোমার প্রতি আরবি ভাষায় কোরআন অবতীর্ণ করেছিযাতে তুমি মক্কা  তার আশপাশের লোকদের সতর্ক করতে পারো। ’ (সুরা : শুরাআয়াত : )
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ওফাত প্রসঙ্গ :-
রাসুলুল্লাহ (সা.) শ্রেষ্ঠতম মহামানব ছিলেন। তবে তিনি অতিমানব ছিলেন না। ইন্দ্রীয় অনুভূতি  মানবীয় গুণাবলির সংমিশ্রণেই তাঁর জীবন ছিল। তিনি হাঁটতেন। বাজারে যেতেন। খাওয়াদাওয়া করতেন। স্ত্রীদের সঙ্গে শয্যায় যেতেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বলোআমি তো তোমাদের মতো একজন মানুষইতবে আমার প্রতি ওহি অবতীর্ণ হয়। মানুষ মাত্রই মরণশীল। রাসুলুল্লাহ (সা.) যেহেতু মানুষ ছিলেনতাই তিনি মৃত্যুবরণ করাই স্বাভাবিক। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি তো মরণশীল এবং তারাও মরণশীল। অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘মুহাম্মদ একজন রাসুল মাত্রতার আগে বহু রাসুল গত হয়েছে। সুতরাং সে যদি মারা যায় অথবা নিহত হয়তবে কি তোমরা পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে?’



No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here