রমাদানে কোরআন তিলাওয়াত করলে কি পরিমান লাভ হবে। গুরুত্বপূর্ন কথা যেনে নিন - History VS Story

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Friday, May 25, 2018

রমাদানে কোরআন তিলাওয়াত করলে কি পরিমান লাভ হবে। গুরুত্বপূর্ন কথা যেনে নিন



 রমাদান মাস, যে মাসে নাজিল করা হয়েছে আল কোরআন, মানুষের জন্য হিদায়াতরূপে এবং পথনির্দেশনার প্রমাণ সত্য-মিথ্যা পার্থক্য নির্ণয়কারী।’ (সুরা- বাকারা, আয়াত: ২৮৫) কোরআন হলো আল্লাহর কালাম, আল্লাহর খাস সিফাত বা বিশেষ আদিগুণ; এটি সৃষ্ট নয়। কোরআন কী? লেখা, উচ্চারণ নাকি অর্থ? এই তিনের সম্মিলিত নাম কোরআন। কোরআন মানে পাঠ, পঠিত, পাঠযোগ্য, পঠনীয়, পঠিতব্য। কিরাআত মানে পাঠ, আবৃত্তি, বিবৃতি। তিলাওয়াত মানে অধ্যয়ন, উপস্থাপন, পরিবেশন।
কোরআনের কারণে রমাদানে শবে কদরের ফজিলত, মক্কা-মদিনার ফজিলত; কোরআনের পরশে গিলাপ রেহালের সম্মান।যার অন্তরে কোরআন নেই, সে যেন পরিত্যক্ত ভবন।’ (মুসলিম)
কোরআনের রয়েছে পাঁচটি হক। যথা: এক. ‘ইমান বিল কোরআনঅর্থাৎ এটা বিশ্বাস করা-কোরআন আল্লাহর কালাম, এটি সর্বশেষ আসমানি কিতাব, যা সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর নাজিল হয়েছে, এরপর নতুন কোনো কিতাব নতুন কোনো নবী বা রাসুল আসবেন না; এটাই কিয়ামত পর্যন্ত সব মানুষের জন্য দুনিয়ার শান্তি পরকালীন মুক্তির একমাত্র পথ। দুই. ‘তিলাওয়াতে কোরআনঅর্থাৎ সহিহ্ভাবে তিলাওয়াত করা। কমপক্ষে নামাজ পড়তে যতটুকু প্রয়োজন। তিন. সঠিকভাবে অর্থ বোঝা বা সামগ্রিক দর্শন অনুধাবন করা। চার. পরিপূর্ণরূপে আমল করা। অর্থাৎ ব্যক্তিজীবনে, পারিবারিক জীবনে, সামাজিক জীবনে সব ক্ষেত্রে কোরআনের কল্যাণ বিধান অনুসরণ করা। পাঁচ. ‘দাওয়াত, তাবলিগ তালিমে কোরআনঅর্থাৎ কোরআনের শাশ্বত শান্তির বাণীর প্রতি দুনিয়াবাসীকে উদাত্ত আহ্বান করা, কোরআনের মঙ্গলবার্তা সব মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং কোরআনের কল্যাণ জ্ঞানের পঠনপাঠন, শিখন-শেখানো, অধ্যয়ন অনুশীলন বা চর্চা করা।
প্রিয় নবী (সা.)-কে এই দায়িত্ব পালনের জন্যই পাঠানো হয়েছিল। আল্লাহ তাআলা বলেন: ‘হে আমাদের রব! আপনি তাদের মাঝে তাদের মধ্য থেকে এমন রাসুল পাঠান, যিনি আপনার আয়াত পাঠ করে শোনাবেন, কিতাব হিকমাত শেখাবেন এবং তাদের পরিশুদ্ধ করবেন। নিশ্চয়ই আপনি স্নেহশীল মহাকৌশলী।’ (সুরা- বাকারা, আয়াত: ১২৯)
যেহেতু সর্বশেষ অবতীর্ণ আসমানি কিতাব হলো আল-কোরআন। তাই এর হেফাজত বা সংরক্ষণের দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের জিম্মাদারিতে। আল্লাহ তাআলা বলেন: ‘নিশ্চয়ই আমিই কোরআন নাজিল করেছি এবং অবশ্যই আমিই তা সংরক্ষণ করব।’ (সুরা-১৫ হিজর, আয়াত: )নিশ্চয় সে কোরআন সংরক্ষিত লিপিতে রয়েছে; তা পবিত্রগণ ব্যতীত কেউ স্পর্শও করতে পারে না। যা বিশ্ব প্রভুর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ।’ (সুরা-৫৬ ওয়াকিয়াহ, আয়াত: ৭৭-৮০) যা অবতারিত হয়েছে হজরত জিবরাইল (.)-এর মাধ্যমে।বরং তা সম্মানিত কোরআন; আছে সংরক্ষিত পটে।’ (সুরা-৮৫ বুরুজ, আয়াত: ২১-২২) ‘{হে রাসুল! (সা.) } আপনি দ্রুত আত্মস্থ করার জন্য জবান নাড়াতে হবে না। নিশ্চয় আমারই জিম্মা তা একত্র করা পাঠ করানোও। আর যখন আমি তা পাঠ করাই, তখন আপনি তার অনুসরণ করুন।’ (সুরা-৭৫ কিয়ামাহ, আয়াত: ১৬-১৯)
কোরআন সপ্ত বর্ণে নাজিল হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেন: ‘নিশ্চয় এই কোরআন সাত বর্ণে অবতীর্ণ; সুতরাং তোমরা পড়ো তার যেটি তোমাদের সহজ হয়।’ (আবু দাউদ শরিফ) কোরআন শরিফের এই কিরাতের বা পাঠের ভিন্নতায় অর্থে যেমন বৈচিত্র্য আসে; তেমনি ভাবেও আসে সমৃদ্ধি এবং তাফসিরে উন্মোচিত হয় নতুন নতুন দিগন্ত; বিধানে আসে সাবলীলতা।
এমন তিনটি বস্তু যা দেখলে সওয়াব হয়: কোরআন শরিফ, কাবা শরিফ, পিতা-মাতার চেহারা মোবারক। কোরআন শরিফ তিলাওয়াতে ফরজ তিনটি: হরফ বা বর্ণসমূহ সঠিকভাবে উচ্চারণ করা, হরকাত বা স্বর-চিহ্ন তাড়াতাড়ি পড়া, মাদ বা দীর্ঘ-স্বর হলে টেনে পড়া। কোরআন শরিফ পড়তে তিনটি কাজ করতে হয়: পবিত্র হওয়া (ফরজ), আউজু বিল্লাহ পড়া (ওয়াজিব), বিসমিল্লাহ পড়া (সুন্নত) তিনটি কাজে পবিত্রতা প্রয়োজন বা ফরজ হয়: নামাজ পড়া, কাবা শরিফ তাওয়াফ করা, কোরআন শরিফ স্পর্শ করা। তিন প্রকার লোকের ভুল মাফ হয়: যাঁরা সহিহ্ করার আপ্রাণ চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন, যাঁরা সহিহ্ করার চেষ্টায় রত আছেন, যাঁদের সমীহ শিক্ষার সুযোগ নেই বা সহিহ্ ভুলের জ্ঞান নেই।
কোরআন তিলাওয়াতে প্রতি হরফে ১০টি করে নেকি হয়, প্রতিটি নেকি আল্লাহ ১০ গুণ করে দেন। রমাদানে প্রতিটি আমলের প্রতিদান ৭০ থেকে ৭০০ গুণ বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। তাই মাসে বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করা বিশেষ ফজিলতপূর্ণ সুন্নত আমল।
 কোরআন আল্লাহ তায়ালা কালাম । আল্লাহ তায়ালা হযরত   মোহাম্মদ সাঃ উপর কোরআন নাযিল করেছেন ।
আল্লাহ তায়ালা যেনে আমাদের এই কোরআনের উপর আমল করার তৌফিক দিন আমিন।



No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here