কয়েকদিন আগে ফেসবুকের ইনবক্সে একটি বার্তা পেলাম।
তাতে লেখা প্রথম রমজান শুরু হবে ১৮/০৫/২০১৮মে ।
নবী পাক সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রমজানের খবর যে লোক আগে অন্য কোনো ব্যক্তিকে দেবে তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম হয়ে যাবে। অতএব, আপনিও রমজানের খবর আগে ভাগে অন্যকে দিয়ে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি লাভ করুন।
এই বার্তার পর রমজানের সূচিসহ একটি বার্তা ইনবক্সে আসে। তাতেও একই কথা লিখা। শুধু দুজন নয়, প্রায় ৬৩ জনের উপরে আমাকে এই মেসেজ পাঠিয়েছে। ভেবেছিলাম কিছু বলবো না কাউকে, কিন্তু নবীর নামে মিথ্যা প্রচারের তীব্রতা আমাকে এ বিষয়ে কিছু বলতে বাধ্য করেছে।
এবার মূল কথায় আসি:-
সবার আগে রমজান মাসের খবর দিলে, তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম হবে। এ ব্যাপারে কোনো প্রমাণ নেই।
বরং এটি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মনগড়া একটি কথা।
যা ইহুদিরা তৈরি করে সাধারণ মুসলমানদের মাঝে ছেড়ে দিয়েছে যাতে করে মুসলমানরা তাদের নবীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করতে পারে এবং বিভ্রান্তিতে পরে।
সুতরাং, এ বার্তার কোনো ভিত্তি নেই।
বরং, এমন বার্তার আদান-প্রদান নিষিদ্ধ। কেননা, এমন বার্তা প্রচারের মাধ্যমে হজরত মোহাম্মদ (সা) আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওপর মিথ্যারোপ করা হচ্ছে।
আর হযরত মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করার কত ভয়াবহ শাস্তি তা অনেক মুসলমানেরই অজানা।
বিশুদ্ধ হাদীস শরিফে এসেছে-
অর্থ: হযরত মোহাম্মদ (সা): বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত মিথ্যাচার করলো, সে যেন পরকালে জাহান্নামকেই তার ঠিকানা বানিয়ে নিলো।
তাই আমাদের উচিত যে কোনো তথ্য সঠিকভাবে বিবেচনা করে প্রচার করা। যেহেতু আল্লাহ আমাদের দেরকে জ্ঞান দান করেছেন।
তবে রমজান মাসের আগমন উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানানো দোষের কোনো বিষয় নয়। কেননা হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবিদের রমজান মাসের আগমন উপলক্ষে সুসংবাদ ও শুভেচ্ছা বিনীময় করতেন এবং তাদের উত্তম আমলসমূহের জন্য প্রস্তুতি নিতে উৎসাহিত করতেন।
তাই আল্লাহ তায়াল্লা আমাদেরকে সঠিক ভাবে বিবেচনা করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
No comments:
Post a Comment