প্রবল পরাক্রান্ত মহা প্রকৌশলী রহস্যবিদ আল্লাহ তার প্রিয় হাবীব হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে নিজ সৃষ্টি রহস্যের নিগুঢ়তত্ত্ব, তথ্য ও নিদর্শন সমূহ অবলোকন করার জন্য নিজ সানি্নধ্যে আহ্বান করেন। এ অভূতপূর্ব ঘটনা বিরাট এক শাসনের স্বীকৃতি যা ইতোপূর্বে কোনো নবী রাসূলের ভাগ্যে জুটেনি। তাই আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) এক দুর্লভ ও মহান সম্মানের অধিকারী। এ সম্বন্ধে কোরানুল কারীমে এরশাদ করেছেন, ''আমি নবী রাসূলগণের মধ্যেও শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি।'' আবার আমরা তাঁর প্রিয় উম্মত বিধায় আমরাও সম্মানিত। এ সম্বন্ধে পাক কালামে এরশাদ করেছেন ''তোমরাই হলে শ্রেষ্ঠতম উম্মত, মানবের কল্যাণে তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে।
হিজরী সনের রজব মাসের ২৭ তারিখ আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) ফু ফু উম্মেহানীর গৃহে অবস্থান করছিলেন। এমন সময় মহান আল্লাহ ৫০ হাজার ফেরেস্তাসহ জিব্রাইল আমীনকে ধরাধামে প্রেরণ করেন তাঁর প্রিয় হাবীবকে সসম্মানে নিজ সানি্নধ্যে নিয়ে আসার জন্য। এ সম্বন্ধে কোরানুলকারীমে এরশাদ করেছেন, ''পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় চান্দাকে রাতের বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন। মসজিদে হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত যার চারদিকে আমি বরকত দান করছি, যাতে আমি তাঁকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। নিশ্চয়ই তিনি পরম শ্রবণকারী ও দর্শনশীল।''
এ পবিত্র আয়াতের মর্মার্থে আমরা জানতে পারি, আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) পরম করুণাময় আল্লাহর আদেশক্রমে জিব্রাইল (আঃ) কর্তৃক হযরত উম্মেহানীর গৃহ থেকে আনিত হয়ে মক্কা মোয়াজ্জমায় ''ঝমঝমের পানি'' দ্বারা বক্ষ বিদারণপূর্বক তিনবার ধৌত করে আল্লাহর আনোয়ার বরকত হেকমত ও এলেম দ্বারা পরিপূর্ণ করে পূর্বোক্ত স্থানে রেখেছিলেন। অতঃপর কাবার বাইরে এসে বেহেস্তি বোরাক নামক বাহনে আরোহনপূর্বক চলতে লাগলেন। হুজুর পাক (সাঃ) এরশাদ করেন ''যখন বোরাকের কানে আমার কথা পৌঁছল, তখন সে ঊদ্ধত্যপনা ছেড়ে দিয়ে ঘাড় নিচু করে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে রইল। আমি উপবিষ্ট হলাম। তারপর জিব্রাইল (আঃ)-এর চোখে পানি দেখা দিলে জিব্রাইল (আঃ) প্রশ্ন করলেন, ''ইয়ারাসুলুল্লাহ। যখন আপনি মহান প্রভুর সফরে যাত্রা করছেন, আপনার ওপর আল্লাহর তাজ্জালী ও মেহেরবাণী অবতীর্ণ হচ্ছে, আর আপনি জান্নাতুল ফেরদাউছের এক মর্যাদাবান বোরাকের ওপর সসম্মানে আসীন। এমতাবস্থায় আপনার কোনো প্রকার চিন্তা ভাবনার উদ্রেক বা পানি দেখা দেয়া উচিত হবে নাা। এখন আপনার খুশির সময়, আপনিতো বেহেস্ত ও দোজখ ভ্রমণে যাচ্ছেন। জিব্রাইল (আঃ)-এর জবাবে হুজুর পাক (সাঃ) বললেন, জিব্রাইলি আমীন! আমি বেহেস্তি বোরাকে আরোহনে আল্লাহর সাক্ষাতে যাচ্ছি। কিন্তু আমার উম্মতের কি হবে? তারা কিভাবে হাশরের ময়দানে পথব্রজে চলবে। তাদের চিন্তায়ই আমার চোখে পানি এসে গেলো। সাথে সাথে জিব্রাইল (আঃ) দয়াময় আল্লাহর পক্ষ থেকে পাঠ করলেন, হে নবী আপনি চিন্তিত হবেন না। আপনি মনে সান্ত্বনা অনুভব করুন। কেয়ামতের ময়দানে আপনার পরহেজগার, উম্মতদের অবস্থা হবে। তারা স্বীয় প্রভুর সম্মুখে এ ধরনের বোরাকে আরোহনপূর্বক উপস্থিত হবেন। তাদের জন্য চিন্তার কোনো কারণ নেই। হুজুর পাক (সাঃ) এরশাদ করেন, বোরাক সম্মুখে অগ্রসর হতেই এক বিরাট মাঠে সুসজ্জিত পোশাক পরিহিত নর-নারী ক্ষেত-খামারে বীজ বপণ করছে ও ফসল তুলে স্তুূপাকার করছে। হুজুর পাক (সাঃ) এদের বিষয়ে জানতে পারলেন, এরা দুনিয়াতে আল্লাহর পথে দান, খয়রাত করতো। এরাই তারা। এ সম্বন্ধে কোরানুল কারীমে এরশাদ করেছেন, 'হে উম্মতে মোহাম্মদী! তোমরা আখেরাতের ছোওয়াবের আশায় দুনিয়াতে যা কিছু খরচ করবে তার ফল তোমরা এভাবেই দেখতে পাবে। যাতে তোমরা সন্তুষ্ট হতে সক্ষম হও। হুজুর পাক (সাঃ) এরশাদ করেন, ওই সবুজ মাঠ অতিক্রম করার পর হতভাগ্য একদল নর-নারী পাথরযুক্ত মাঠে চিৎ হয়ে শুয়ে আছে। আর তাদের মাথার ওপর বড় বড় পাথরের আঘাত দ্বারা চুর্ণ-বিচূর্ণ করা হচ্ছে। এতে চিন্তিত হয়ে হুজুর পাক (সাঃ) জিব্রাইল (আঃ) এর নিকট কারণ জিজ্ঞেস করলেন এরা কারা? জিব্রাইল (আঃ) বললেন, হে আল্লাহর নবী! এরা দুনিয়াতে আরাম আয়াসে এবং অহঙ্কার ভরে নামাজে যেতো না। এ সম্বন্ধে কোরানুল কারীমে এরশাদ করেন ''আর যারা গর্ব ও অহঙ্কার বশতঃ আমার এবাদত থেকে বিরত থাকতে, অচিরেই তাদেরকে দোজখের কঠিন শাস্তির মধ্যে লিপ্ত হবে।''
হুজুর পাক (সাঃ) এরশাদ করেন, বোরাক আরো কিছু দূর হওয়ার পর একদল উলঙ্গ ও ক্ষুদার্থ নর-নারী প্রত্যক্ষ করলেন, যারা কৃপণতা করে ধন সম্পদ সঞ্চয় করতো গরিব-দুঃখীদের দান করতো না, কেয়ামত পর্যন্ত তাদেরকে এমন সাজা দেয়া হবে। কারণ আল্লাহ তাদেরকে ধন-সম্পদের মালিক করেছেন, কিন্তু তারা কেবল নিজের ভোগের জন্র ব্যয় করেছে। গরীব-দুঃখীর জন্য ব্যয় করেনি। তাই কালামে পাক এরশাদ হচ্ছে। যারা স্বর্ণ ও রৌপ্য জমা করে রেখেছে সম্পদশালী হওয়ার জন্য এবং গরিব হওয়ার ভয়ে তা আল্লাহর রাস্তায় খরচ করেনি, ''হে নবী তাদেরকে কঠিন শাস্তির সংবাদ দিন।''
হুজুর পাক (সাঃ) এরশাদ করেছেন, এরূপভাবে ব্যভিচারী, চোর, ডাকাত-দাঙ্গা-হাঙ্গামাকারী, গর্বিত, অহঙ্কারী ও সুদের সঙ্গে জড়িত, এতিমদের সম্পদ ভক্ষণকারী, পরনিন্দাকারী এবং পর্যায়ক্রমিক ভাবে অপবাধনীদের বেয়ামত পর্যন্ত কঠিন সাজা দেয়া হবে। জান্নাতী বোরাক আরো কিছু দূর অগ্রসর হলে জিব্রাইল (আঃ) নবী করীম (সাঃ) কে কয়েক স্থানে নামাজ পড়ালেন। তারপর বললেন আপনি যে স্থানে এখন নামাজ আদায় করেছেন। তা হল হযত শোয়াই্ (আঃ) এর আবাসভূমি। আর যে বৃক্ষের নিচে নামাজা আদায় করেছেন এস্থানটি হযরত মুসা (আঃ) এর বৃক্ষ। আর যে সৌন্দর্যময় পাহাড়ে নামাজ আদায় করেছেন, সেটা হল তুরেসিনা। সেখানে হযরত মুসা (আঃ) আল্লাহর সাথে কথোপকথন করেছিলেন। আর যে খেজুর বৃক্ষের কাছে নামাজ আদায় করেছিলেন, সেটা হল হযরত ঈশা (আঃ)। যিনি মহান আল্লাহর কুদরতে পিতাবিহীন মরিয়ম (আঃ) এর গর্বে জন্মলাভ করেছিলেন।
হুজুর পাক (সাঃ) উপরোক্ত বরকতময় স্থানগুলো দেখতে দেখতে যাচ্ছিলেন এবং নামাজ আদায় করছিলেন। এখানে এক হৃদয়গ্রাহীও সোহাগপূর্ণ আওয়াজ কানে এলো। এ আওয়াজ চির সুখময় জান্নাতের।
অতঃপর কষ্টময় হৃদয় বিদারক প্রশ্নোত্তর শুনতে পেলেন যে, সরাবখোর, মিথ্যা সাক্ষী প্রদানকারী, স্বামীর অবাধ্যকারীগণ, বাজনাকারী, পিতা-মাতার অবাধ্যকারী ও অহঙ্কারীর শাস্তির দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেন।
মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় হাবীব (সাঃ) কে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকছা পর্যন্ত সফরের মধ্যবর্তী সময়ে দুনিয়ার বহু কিছু অবলোকন করিয়ে মসজিদুল আকসার নিকট বোরাক থেকে অবতরণ করলেন। জিব্রাইল (আঃ) এখানে সম্মানিত বোরাককে একটি পাথরের সাথে বেঁধে রাখলেন। হুজুর পাক (সাঃ) এরশাদ করেছেন 'ইসরা'' অর্থাৎ নৈশ ভ্রমণ শেষে ঊর্ধ্ব ভ্রমণ পূর্বে মসজিদুল আকসায় প্রবেশ করে নূরানী চেহারা বিশিষ্ট হযরত আদম (আঃ) হযরত ইব্রাহীম (আঃ), হযরত মুসা (আঃ) ও ঈশা (আঃ) কে সালাম জানালেন। তারা আন্তরিকতার সাথে সালাম বিনিময় করলেন। তারপর নবী, রাসূল, ফেরেস্তা, হুর, রূহ পরিপূর্ণ জামাতে হুজুর পাক (সাঃ) এর ইমামতিতে দু রাকাত নামাজ আদায় করলেন। নামাজ শেষে সকলের সাথে পরিচিত হন এবং সকলই সংক্ষিপ্ত খুতবা পাঠ করেন। সব শেষে মহানবী হুজুর পাক (সাঃ) এর শ্রেষ্ঠত্বের নিদর্শন স্বরূপ সার গর্ভ খুতবা প্রদান করে ইমামুল মুরসালীন হিসেবে বিদায় গ্রহণ করেন। এ প্রক্রিয়া অর্থাৎ ফানায়ে কাবা থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত ভ্রমণকে আরবী ভাষার 'ইসরা'' অর্থাৎ নৈশ ভ্রমণ বলা হয়। অতঃপর আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ)-এর মেরাজ অর্থাৎ ঊর্ধ্ব গমন বা আগমন পথে ভ্রমণ আরম্ভ হয়। এ উদ্দেশ্যে বায়তুল মোকাদ্দশের ঝুলান পাথরের নিকট স্বর্ণের সোপান দেখতে পান, যার উভয় বাহু সবুজ এবং উপরের অংশ আসমানের সাথে যুক্ত। উক্ত সোপান খাঁটি স্বর্ণ রৌপ্য ও বেহেস্তের বিভিন্ন অলঙ্কার দ্বারা নকশা করা ছিলো।
জিব্রাইল (আঃ) হুজুর পাক (সাঃ)কে সোপানে আরোহন করার জন্য অনুরোধ জানালেন। তখন হুজুর পাক (সাঃ) বললেন, হে জিব্রাইল! আমার উম্মত ব্যতীত বেহেস্তের এসব নেয়ামত উপভোগ করা কি সম্ভব? জবাবে জিব্রাইল (আঃ বললেন, হে আল্লাহর নবী, আপনি একথার ওপর সন্তুষ্ট থাকুন যে, আপনার উম্মতের কোনো মোমেনবান্দা মৃত্যু শয্যায় শায়ীত হয়ে মৃত্যুর আলামত দেখবে। তখন দয়াময় আল্লাহ তাঁর সম্মুখে এ সোপান অবশ্যই উপস্থাপন করবেন। সোপান না দেখিয়ে মৃত্যুদান করবেন না। এ জন্যই মৃত্যুপথ যাত্রী এক নজরে ওপরের দিকে চেয়ে থাকেন।
অতঃপর জিব্রাইল (আঃ)-এর আহ্বানে আসমানের প্রহরী ফেরেস্তা একেকটি দরজা খুলে দিল। হুজুর পাক (সাঃ) প্রথম আসমানে কদম মোবারক রাখলেন। তখন তিনি অসংখ্য লাল চেহারা বিশিষ্ট ও লাল পোশাক পরিহিত ফেরেস্তা মনোযোগ সহকারে তসবীহ পাঠরত দেখতে পেলেন। এ আসমানে হযরত আদম (আঃ)-এর সাথে শুভেচ্ছা ও সালাম বিনিময় করলেন।
দ্বিতীয় আসমানে পা মোবারক রাখলেন, তখন দেখতে পেলেন, অগণিত হলুদ বর্ণ চেহারা ও তদ্রুপ পোশাক পরিহিত ফেরেস্তা দেখতে পেলেন, যারা মহান আল্লাহর হামদ ও সানা পাঠ করছেন। এ আসমানে হযরত ঈশা ও ইয়াহইয়া (আঃ)-এর সাথে শুভেচ্ছা ও সালাম বিনিময় করলেন।
তৃতীয় আসমানে কদম মোবারক রেখে সবুজ চেহারা বিশিষ্ট ও তদ্রুপ পোশাকধারী অসংখ্য ফেরেস্তা দেখতে পেলেন, তারাও আল্লাহতায়ালার পবিত্রতা ঘোষণা করছেন। এ আসমানে হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর সাক্ষাৎ পেলেন ও সালাম বিনিময় করলেন। চতুর্থ আসমানে পা মোবারক রাখলেন, তখন দেখতে পেলেন অসংখ্য ফেরেস্তা যাদের মুখমণ্ডল বিজলীর ন্যায় সাদাবর্ণের, তাদের পোশাকও সাদাবর্ণের যা সীমার ন্যায় উজ্জ্বলতর। তারা আমার সম্পর্কে বলেছেন, ''প্রভু মোদের আহ্বান করেছেন, তাই জলদি চলুন। এখানে হযরত ইদ্রিছ (আঃ)-এর সাথে সালাম বিনিময় করলেন।
পঞ্চম আসমানে পা মোবারক রেখে অসংখ্য ফেরেস্তার জমায়েত দেখতে পেলেন, যা মানব-দানব অপেক্ষাও বেশি তাদের মুখে ''লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু'' জিকির জারী আছে। এ আসমানে হযরত হারুন (আঃ)কে সালাম জানালেন। তিনি ও সালাম বিনিময় করলেন।
ষষ্ঠ আসমানে পা মোবারক রাখলেন। সে আসমানে স্বর্ণের একটি বিছানা দেখতে পেলেন এবং তথায় এক নূরানী ফেরেস্তা মহান আল্লাহ হামদ ও সানা পাঠ করছেন। সে আসমানে হযরত মুসা (আঃ)-এর সাথে সালাম বিনিময় করলেন। হুজুর পাক (সাঃ) এরশাদ করেছেন, সপ্তম আসমানে অসংখ্য নূরানী চেহারা বিশিষ্ট ফেরেস্তার আগমন হয় এবং মহান আল্লাহর আদেশে আমার ইমামতিতে দু রাকাত নামাজ আদায় করা হয়। এ আসমানে হযরত ইব্রাহীম খলীলুল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ ও সালাম বিনিময় হয়। তারপর সিদরাতুল মুনতাহায় পৌঁছেন। এখানে হুজুর পাক (সাঃ) জিব্রাইল (আঃ)কে স্বশরীরে দর্শন করেন। এ সম্পর্কে কোরানুল কারীমে এরশাদ করেছেন, ''নিশ্চয়ই সে তাঁকে আরেকবার দেখেছিল। সিদরাতুল মুন্তাহার নিকট। হুজুর পাক (সাঃ) সিদরাতুল মনুতাহা হতে বিশেষ নূরানী বাহন ''রাফরাফ'' এ আরোহন করে, একা-একা আরশে আযীম পর্যন্ত গমন করেন এবং মহান আল্লাহ দুর্লভ সানি্নধ্য লাভ করেন। এ সম্বন্ধে কোরানুল কারীমে এরশাদ করেছেন ''সহজাত শক্তি সম্পন্ন যে আকৃতিতে প্রকাশ পেল। ঊর্ধ্ব দিগন্তে, অতঃপর নিকটবর্তী হল ও ঝুলে গেল। তখন দু ধনুকের ব্যবধান ছিল অথবা আরো কম। এ প্রক্রিয়াকেই ''এরাজ'' বলা হয়। তবে এক কথায় সবগুলোকে মেরাজ বলা হয়।
হুজুর পাক (সাঃ) কাবা কাউসাইনে মহান আল্লাহ পাকের সাথে সাক্ষাৎ ও কথোপকথন শেষে পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজের পরিবর্তে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ উপঢৌকন নিয়ে পুনরায় সপ্তাকাশ অতিক্রম করে বায়তুল মোকাদ্দাসে এসে উপস্থিত হন। তারপর বায়তুল মোকাদ্দাসে আগত নবী-রাসূলগণকে বিদায় জানিয়ে বোরাকে আরোহনপূর্বক পবিত্র খানায়ে কাবার আঙ্গিনায়, মতান্তরে বিবি উম্মেহানী (রাঃ) এর গৃহে ফিরে আসেন।
আল্লাহ যেনে আমাদের সবাইকে সঠিক পথে
চলার তৌফিক দান করুন আমিন ।
No comments:
Post a Comment