আমাদের সমাজের মানুষেরা অনেক কিছু জানেনা এবং
অনেক কিছু বুজেনা বেস করে অশিক্ষিত মানুষেরা তারা জানেনা কোন জিনসি কোন পণ্য কখন রাখবে বাজারে অনেক লাভোবান হবে কিন্তু যারা শিক্ষিত মানুষ তারা বুজে কখন কি করতে হবে এবং তাদের সব সময় এগুলো নিয়ে ভাবে আমার
দেশের পণ্য গুলো বাহিরে যায় এটা অনেকেই জানেনা এবং কি করে
পণ্য বাহিরে বিক্রয় করতে হয় তা বুজেনা তিই সব সময় পণ্য কখন বিক্রয় করলে আপনী
লাভবান হবে তা নিয়ে একটু ভাবুন এবং তা বের করার চেষ্টা করুন তা নিয়ে একটু লারাচারা
করুন একটা কথা হলো সব কিছু বুদ্ধ দিয়ে করলে এবং করা র আগে একটু ভাববেন কাজ করলে কি
হবে ভাল না খারা তা হলে সব কিছুতে ক্ষতি হবে বরং লাভ ছাড়া ।
আমাদের দেশে রপ্তানি পণ্য তালিকায় পাট, চা, চামড়া, চিংড়ি, তৈরি পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য রয়েছে। এসব পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে আমাদের দেশে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। এসব প্রচলিত রপ্তানি পণ্যের তালিকার বাইরে এখন আমাদের দেশের বিভিন্ন ধরনের অপ্রচলিত পণ্য বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। দেশের সীমিতসংখ্যক রপ্তানিকারক অত্যন্ত স্বল্প পরিসরে এসব অপ্রচলিত পণ্য বিদেশে রপ্তানি করছেন। এসব অপ্রচলিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে প্লাষ্টিকের পরিত্যক্ত সামগ্রীর চিপস (প্লাষ্টিকের গুঁড়া) টেক্সাইল ববিন, প্লাষ্টিক ষ্ট্রীপ, পুরাতন কম্পিউটার এবং টিভির প্লাষ্টিক কভার, মাছের পোটকা, শুঁটকি, মাছের আঁশ, গরুর ভুঁড়ি, ফুলের ঝাড়ু, টেক্সটাইল ওয়েষ্টেজ, জুটকটন, রিরোলিং মিলের স্ক্র্যাপ, নারিকেলের ছোবড়াসহ বিভিন্ন ধরনের অপ্রচলিত পণ্য। বেশ কয়েক বছর আগেও এসব পণ্য আমাদের দেশে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকত অথবা নষ্ট হয়ে যেত। এসব অপ্রচলিত পণ্যের রপ্তানিকারক কবির আহাম্মদ চৌধুরী (পান্না) বলেন, আমাদের দেশে এসব অপ্রচলিত পণ্যের বিদেশে চাহিদা থাকায় আমরা দেশের বেশ কয়েকজন রপ্তানিকারক সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে রপ্তানির উদ্যোগ গ্রহণ করি। আমাদের দেশে অপ্রচলিত পণ্যগুলোর চাহিদা রয়েছে চীন, হংকং, ভিয়েতনাম, কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশে।
আমাদের দেশে অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানি করতে গিয়ে প্রথম প্রথম অনেক সমস্যার মুখামুখি হতে হয়েছে। বর্তমানে এসব অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় সরকারও আমাদের উত্সাহিত করছে এবং বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন। এসব অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানিতে সরকার ভর্তুকি পর্যন্ত দিয়েছেন। আমাদের দেশের অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানি তালিকায় প্লাষ্টিকসামগ্রীর ওয়েস্টগুলো বেশি রপ্তানি করা হচ্ছে। আগে যেখানে প্লাষ্টিকের বোতল অথবা প্লাষ্টিকের সামগ্রী ব্যবহারের পরে ফেলে দেয়া হত এখন সেখানে এসব প্লাষ্টিকের সামগ্রী সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। প্লাষ্টিকসামগ্রীর ওয়েস্টগুলো বিশেষ করে চীনে বেশি রপ্তানি করা হচ্ছে। প্লাষ্টিকের ওয়েস্টগুলো দিয়ে উন্নতমানের প্লাষ্টিক রুপ তৈরি করা হচ্ছে। টেক্সটাইলের পরিত্যক্ত ববিন দিয়ে প্লাষ্টিক ফাইবার তৈরি করা হচ্ছে। পরিত্যক্ত ববিন দিয়ে প্লাষ্টিক ফাইবার তৈরি করা হচ্ছে। পরিত্যক্ত প্লাষ্টিকসামগ্রী দিয়ে ইদানীং আমাদের দেশেও প্লাষ্টিক পাইপ তৈরি হচ্ছে। পরিত্যক্ত গাড়ির টায়ারগুলো আগে কোন কাজে আসত না। বর্তমানে এসব টায়ারগুলো বিশেষভাবে পরিষ্কার করে যে অবস্থায় থাকে সেই অবস্থায় রপ্তানি করা হচ্ছে।
আমাদের দেশে জবাইকৃত গরুর ভূঁরি ফ্রোজেন করে চীনে রপ্তানি করা হচ্ছে। চীন এবং হংকং-এ গরুর ভূঁরির বেশ চাহিদা রয়েছে। সেসব দেশে গরুর ভূঁরির স্যুপ বেশ জনপ্রিয় বলে জানা যায়। মাছের পোটকা এবং মাছের আঁশ দিয়ে বিদেশে ওষুধ তৈরি করা হয়। অনেক উচ্চ দামে মাছের পোটকা এবং আঁশ রপ্তানি করা হচ্ছে। পোশাক শিল্পের ওয়েস্ট কটনগুলোর বিদেশে বেশ চাহিদা রয়েছে। ওয়েস্ট কটন দিয়ে উন্নতমানের তুলা তৈরি করা হয়। টিভি এবং কম্পিউটারের প্লাষ্টিক কভারের চাহিদা থাকায় এগুলো রপ্তানি করা হচ্ছে, আমাদের দেশে উত্পাদিত ফুলের ঝাড়ু দিয়ে বিদেশে ফ্লাওয়ার বেজ তৈরি করা হয়। প্রবাসে অবস্থানরত বাঙালিরা ফুলের ঝাড়ু দিয়ে গৃহস্থালির কাজ সমাধা করে থাকে। রপ্তানিকারক কবির আহমদ চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশের এসব অপ্রচলিত পণ্যের চাহিদা বিদেশে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকেই এসব পণ্য রপ্তানিতে এগিয়ে আসছেন। এসব অপ্রচলিত পণ্য সংগ্রহ করা বেশ কঠিক কাজ। সারা দেশে এসব সংগ্রহের জন্য নিয়োজিত আছে বিশাল সংখ্যক জনসংখ্যা। অপ্রচলিত পণ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সম্পৃক্ত হচ্ছে হাজার হাজার লোক। এতে করে বিশাল সংখ্যক লোকের কর্মসংস্থানও হচ্ছে। আমাদের দেশে অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে প্রতি বছর প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে এসব অপ্রচলিত পণ্য শিল্পের রূপধারণ করতে যাচ্ছে। কবির আহম্মদ আরও বলেন, এসব অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানি করতে গিয়ে রপ্তানিকারকদেরকে মূলধন নিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। উচ্চহারে ব্যাংক ঋণ নিয়ে এসব অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানি করতে গিয়ে লোকসানের শিকার হচ্ছেন।
রপ্তানি আয়ের উপর উচ্চহারে কর নির্ধারিত থাকায় রপ্তানিকারকরা সমস্যায় পড়ছেন। এসব অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানির ব্যাপারে রপ্তানিকারকদেরকে সরকারের তরফ থেকে সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দিতে হবে। চীন, হংকং, ভিয়েতনামসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এসব অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এসব পণ্য সারা দেশ থেকে সহজে সংগ্রহের ব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। দেশে অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে দেশীয় সব ধরনের পণ্য রপ্তানির ব্যাপারে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নিত্য নতুন পণ্য রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। দেশের ক্ষুদ্র কুটির শিল্পগুলোকে সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দিয়ে মানসম্মত পণ্য উত্পাদনের মাধ্যমে বিদেশে রপ্তানির সুযোগ দিতে হবে। সবাইকে মনে রাখতে হবে আমাদের বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনার একটি দেশ। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলেই আমরা আরো সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারব।
নিজে যদি সব কিছু বেবে চিন্তায় করি তাহলে কোন
কাজ আমাদের কে আটকাবেনা তা সবাই সব কাজ বেবে চিন্তায় করা ভাল ।
No comments:
Post a Comment